Header Ads Widget

খানা খাওয়ার সুন্নাত সমূহ | খানা খাওয়ার সুন্নাত | খানা খাওয়ার সুন্নাতসমূহ

এখানে খানা খাওয়ার সংক্রান্ত সুন্নতগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যা মেনে চললে অনেক লাভ রয়েছে। 

খানা খাওয়ার সুন্নাতসমূহ:

১/ উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধোয়া। (আবু দাউদ, হা. ৩৭৬১)

২/ দত্তরখানা বিছিয়ে খানা খাওয়া। (বুখারী, হা. ৫৩৮৬)

বি. দ্র.- দত্তরখানা খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। এর উপর ঝুটা (উচ্ছিষ্ট খাবার) হাড্ডি ইত্যাদি না ফেলা বা তাতে পা না রাখা উচিত। (মুসলিম, হা. ২০৩৩)

৩/ তিন তরীকার এক তরীকায় বসে খানা খাওয়া । (মুসলিম, হা. ২০৪৪)

৪/ চেয়ার-টেবিলে বসে খানা না খাওয়া উচিত। কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো চেয়ার-টেবিলে বসে খানা খাননি। (বুখারী, হা. ৪৯৬৭)

৫/ খানার জন্য ডানহাত ব্যবহার করা। (আবু দাউদ, হা. ৩২৮৩)

৬/ একাধিক লোক নিয়ে খানা খেতে বসা।

৭/ কখনো কোন খাবারের প্রশংসা না করা। কারণ, প্রশংসায় লোভ এসে যায়। আর নিন্দাও না করা । কেননা, খানা আল্লাহ তা'আলার একটা নেয়ামত। (বুখারী, হা. ৩২৯৯)

৮/ (উঁচু স্বরে) বিসমিল্লাহ পড়া। (বুখারী, হা. ৫৩৭৬)

৯/ খানার মজলিসে বয়সের দিক দিয়ে যিনি বড় এবং বুযুর্গ তার দ্বারা খানা শুরু করানো। (মুসলিম, হা. ২০১৭)

১০/ খাদ্য এক ধরনের হলে নিজের সম্মুখ হতে খাওয়া। (বুখারী, হা. ৫৩৭৬)

১১/ খাদ্যের কোন অংশ পড়ে গেলে উঠিয়ে (প্রয়োজনে পরিষ্কার করে) খাওয়া। (মুসলিম, হা. ২০৩৩)

১২/ হেলান দিয়ে বসে না খাওয়া। (বুখারী, হা. ৫৩৯৮)

১৩/ জুতা পরিহিত থাকলে জুতা খুলে খানা খাওয়া । (মুস্তাদরাকে হাকীম, হা. ৭১২৯)

১৪/ আহার গ্রহণ শেষে খানার পাত্রসমূহ আঙুল দ্বারা ভালভাবে চেটে পরিষ্কার করে খাওয়া। এতে খাবারের পাত্রসমূহ আহারকারীর জন্য মাগফিরাত কামনায় মহান আল্লাহর দরবারে দু'আ করে। হাতের আঙুলসমূহ যথাক্রমে মধ্যমা, শাহাদাত, বৃদ্ধা আঙুলগুলো চেটে খাওয়া। (মুসলিম, হা. ২০৩৩)

১৫/ খানা শেষে এই দু'আ পড়া-

الحمد لله الذي أطعمنا وسقانا وجعلنا من المسلمين

অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে খাওয়ালেন ও পান করালেন এবং আমাদেরকে মুসলমানদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন । (আবু দাউদ, হা. ৩৮৫০)

১৬/ খানা শেষে আগে দস্তরখানা উঠানো অতঃপর নিজে উঠা।

(ইবনে মাজাহ্, হা. ৩২৯৫)

১৭/ দস্তরখান ও অবশিষ্ট খানা উঠানোর সময় এই দু'আ পড়া- (বুখারী, হা. ৫৪৫৮)

الحمد لله حمدا كثيرا طيبا مباركا فيه غير مكفي ولا مودع ولا مستغنى عنه ربنا۔

১৮/ খানা খেয়ে উভয় হাত ধোয়া। (তিরমিযী, হা. ১৮৪৬)

১৯/ কুলি করে মুখ পরিষ্কার করা। (বুখারী, হা. ৫৪৫৫)

২০/ খানার শুরুতে বিস্‌মিল্লাহ পড়তে ভুলে গেলে স্মরণ হওয়ার পর খানার মাঝে এই দু’আ পড়া- (আবু দাউদ, হা. ৩৭৬৭)

بسم اللہ اوله واخرہ۔

২১/ কারো মেহমান হয়ে খানা খেলে প্রথমে আল্লাহর শোকর আদায়ে নিম্নের দু'আটি পড়া-

الحمد لله الذي أطعمنا وسقانا جعلنا من المسلمين -

২২/ অতঃপর মেযবানের শুকরিয়া আদায়ে এই দু'আ পড়া- (মুসলিম, হা, ২০৫৫)

اللهم اطعم من أطعمين واشق من شقاني -

২৩/ খানা খাওয়ার সময় একেবারে চুপ থাকা মাকরূহ। এ জন্য খাওয়ার ফাকে ফাকে পরস্পর ভাল কথা আলোচনা করা। (বুখারী, হা. ৫৩৭৬)

২৪/ খানা খাওয়ার মাঝে মাঝে এ দু'আ পড়া সুন্নাত। (শামায়েল)

اللهم لك الحمد ولك الشكر لا أحصي ثناء عليك -

২৫/ অন্যের খানা শেষ না হওয়া পর্যন্ত (বেশি প্রয়োজন না হলে) না উঠা। (ইবনে মাজাহ)

আল্লাহ তায়লা সবাইকে এই সুন্নত সমূহ মেনে খনা খাওয়ার তৌফিক দিন (আমিন)


পান করার সুন্নাতসমূহ:

১.পানির পেয়ালা ডানহাত দিয়ে ধরা। (মুসলিম, হা. ২০২০)

২. বসে পান করা, বসতে অসুবিধা না হলে দাঁড়িয়ে পান না করা ।

৩. বিসমিল্লাহ বলে পান করা এবং পান করে আল হামদুলিল্লাহ্ বলা ।

(মুসলিম, হা. ২০২৪)

৪. কমপক্ষে তিন শ্বাসে পান করা এবং শ্বাস ছাড়ার সময় পানির পাত্র মুখ হতে।

সরিয়ে নেয়া। (বুখারী, হা. ৫৬৩১)

৫. পাত্রের ভাঙ্গা দিক দিয়ে না পান করা। (আবু দাউদ)

৬. পাত্র যদি এমন হয় যার ভিতরটা নজরে আসে না, সেটার মুখে মুখ লাগিয়ে পান না করা। কারণ, তার ভেতরে থাকা কোন বিষাক্ত প্রাণী ক্ষতিসাধন করতে পারে। (বুখারী, হা. ৫৬২৬)

৭.পানি পান করার পর এই দু'আ পড়া-

(তাবরানী, হা. ৬৪৫২)

الحمد لله الذي سقانا ماء عذبا فراتا برحمته ولم يجعله ملكا أجاجا بذنبنا۔

৮. দুধ পান করার পূর্বে এই দু'আ পড়া- (আবু দাউদ, হা. ৩৭৩০)

(হিলয়াতুল আউলিয়া হা. ৮;১৩৭)

৯. অযু করার পর যে পাত্রে হাত দিয়ে পানি নেয়া হয়, সে পাত্রের অবশিষ্ট পানি

কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে পান করা। এতে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি হতে আরোগ্য লাভ

হয় । (শামী ১/১২৯, বুখারী, হা. ৫৬১৬)

১০.পানীয় দ্রব্য পান করতে কাউকে দিতে হলে ডানদিকের ব্যক্তিকে আগে দেয়া

এবং এই ধারাবাহিকতা অনুযায়ী শেষ করা। (বুখারী হা. ৫৬১৯)

اللهم بارك لنا فيه وزدنا منه-

বি: দ্র:- দুধ ব্যতীত অন্য কোন পানীয় দ্রব্য হলে jizzএর পরে বৃদ্ধি করা।

১১. যে ব্যক্তি পান করবে সে নিজে সর্বশেষে পান করবে। (মুসলিম হা. ৬৮১)

১২. জমজমের পানি কিবলামুখী হয়ে এ দু'আ পড়ে পান করা-

اللهم انى اسئلك علما نفعا ورزقا واسعا و شفاء من كل داء -

(মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হা. ৯১১২, সুনানে দারাকুতনী, হা. ২৭১২)


Releted Post:



#খানা খাওয়ার সুন্নাত সমূহ
#খানা খাওয়ার সুন্নাত
#খানা খাওয়ার সুন্নাতসমূহ
#পান করার সুন্নাতসমূহ
#খানা খাওয়ার দু'আ
#খানা খাওয়ার মাঝে মাঝে এ দু'আ
#খানা খাওয়া শেষের দু'আ 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ