আলহামদুলিল্লাহ সমস্ত প্রশংসাই আল্লাহ পাকের, যিনি আমাদেরকে অর্ধমৃত অবস্থা থেকে জাগাইয়া আল্লাহপাকের মহান হুকুম ফজরের দুই রাকআত ফরজ নামাজ মসজিদে এসে জামায়াতে তাকবীর উলার সহিত আদায় করার তৌফীক দান করেছেন, তাই দিল থেকে সবাই শুকরিয়া আদায় করি বলি আলহামদুলিল্লাহ।
এশার নামাজ বাদ আমরা কয়েক দলে বিভক্ত হয়ে গিয়াছিলাম। একদল রাত্রিকে সুবর্ণ সুযোগ মনে করিয়া সারা রাত্রি ইবাদতে মশগুল ছিলেন। আর এক দল রাত্রিকে সুবর্ণ সুযোগ মনে করিয়া সারা রাত্রি জেনা, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি ও দস্যবৃত্তি করে কাটিয়ে দিয়েছেন। কাহারো নিদ্রা চিরনিদ্রায় পরিণত হয়েছে। কেহ হাসপাতালে সারা রাত্রি অশান্তিতে কাটিয়ে দিয়েছেন।
কোন ব্যক্তি ফজরের আযান শুনিয়া উত্তম রূপে অজু করিয়া মসজিদের দিকে রওয়ানা হইল, সে যেন এহরাম বেধে হজ্জের দিকে রওয়ানা হইল। তার প্রতি কদমে একটি করে নেকী লেখা হয় ও একটি করে গুনাহ মাফ হয়ে যায়। মসজিদে যত সময় নামাজের জন্য দেরি করবে তত সময় নামাজেরই ছাওয়াব পাইতে থাকিবে।
নামাজী ব্যক্তি যত সময় নামাজে থাকিবে তত সময় আল্লাহর রহমত বৃষ্টির মত পড়িতে থাকিবে। দাড়াইয়া নামাজ আদায় করিলে কেরাতের প্রতি হরফে ১০০ করিয়া নেকী পাইবে। বসিয়া পড়িলে ৫০ নেকী করিয়া পাইবে । প্রথম তাকবীরে শরীক হওয়া দুনিয়ায় যত নেক আমল আছে তার চেয়ে উত্তম। নামাজ সর্বশেষ্ঠ জেহাদ। নামাজী যখন রুকুতে যায়, তখন তাহার নিজের ওজন বরাবর স্বর্ণ আল্লাহর রাস্তায় দান করার ছাওয়াব তার আমলনামায় লেখা হয়। নামাজি যখন আত্তাহিযযাতু পড়ার জন্য বসে তখন সে হযরত আইউব (আঃ) ও হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর মত দুইজন ছাওয়াব অর্জনকারীর ছাওয়াব পায়। যে পর্যন্ত হুজুর পাক (সঃ) উপর দুরূদ পাঠ করা না হয়, তত সময় দোয়া আসমান ও যমীনের মাঝে ঝুলিতে থাকে। ডান দিকে ছালাম ফেরালে বেহেশতের ৮টি দরজা খোলা হয়ে যায়। আর বাম দিকে ছালাম ফেরালে দোষখের ৭টি দরজা বন্ধ হয়ে যায়। নামাজ বাদে যদি কেহ যিকিরকারীর পাশে বসে থাকে, তাহলে সে ৪জন গোলাম আজাদ করার ছাওয়াব পাইবে। ১টি গোলামের মূল্য ১২ হাজার টাকা, ৪টির মূল্য ৪৮ হাজার টাকা দান করার ছাওয়াব পাইবে। তার পর দুই রাকআত এশরাক নামাজ সূর্য উদয়ের ২২/২৩ মিনিট পরে পড়ে তবে একটি উমরা হজ্জ ও একটি কবুল কৃত হজ্জের ছাওয়াব পাইবে। আর ও দুই রাকআত নামাজ আদায় করলে আল্লাহ্ পাক তাহার সারাদিনের জিন্মাদার হয়ে যাইবেন।
সুরা হাশরের শেষ আয়াত পাঠ করিলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য মাগফেরাত কামনা করিবেন। মাগরিবের নামাজের পর পড়িলে সারা রাত্রি মাগফেরাতের দোয়া করিতে থাকেন। ১০০ বার ছুবহানাল্লাহ পাঠ করিলে ১০০ গোলাম আজাদ করার ছাওয়াব পাইবে। ১০০ বার আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করিলে যুদ্ধের ময়দানে ছামানাসহ ১০০ ঘোড়া দান করার ছাওয়াব পাইবে । ১০০ বার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু পাঠ করিলে আসমান যমীনের ফাকা জায়গা নেকীতে ভর্তি হয়ে যাবে। যে ব্যক্তি
“লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা-লাহু আহদান সামাদান লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়াকল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ” পাঠ করিবে।
সে বিশ লক্ষ নেকী পাইবে। হুজুর পাক (সা.)-এর হাদীসে আছে- (মোন তামাচ্ছাকা বিসুন্নতী ইনদা ফাছাদি উন্মাতি ফালাহু আজরু মিয়াতি সাহীদিন) যে ব্যক্তি ফেতনা-ফাসাদের জামানায় আমার একটি সুন্নাতকে আকড়ে ধরে সে ১০০ শহীদের ছাওয়াব লাভ করিবে। এক ওয়াক্ত নামাজ যে আদায় করিল সে ৩,৩৫,৫৪,৪৩২ নেকী পাইল । আর যে এ নামাজ ছাড়িয়া দিল সে ২৩০৪০০০০০০ লক্ষ বছর শাস্তি ভোগ করিবে, অর্থাৎ ৮০ হোকবা। কাজা আদায় করিলে ৭৯ হোকবা মাফ অর্থাৎ ১ হোকবা ২ কোটি ৮৮ লক্ষ বৎসর শাস্তি ভোগ করিবে।
যারা নামাজে আসে নাই তারা ক্ষতিথন্ত হয়ে গেল। তাদের ডাকার জিদ্মাদারী হুজুর পাক (সা:) আমাদের উপর রেখে গেছেন। আল্লাহ ভুলা বান্দাকে ডেকে নামাজে দীড় করাইয়া দিলে কবুল কৃত নামাজের ছাওয়াব পাওয়া যাইবে। ভাই দাওয়াতের জন্য কে কে রাজী আছেন, খুশি খুশি বলুন ।
0 মন্তব্যসমূহ