Header Ads Widget

দাওয়াতে তাবলীগের এর ছয় নম্বর বয়ান | তাবলিগের বয়ান | ছয় নম্বর

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
নাহমাদুহু অনুসল্লী আলা রাসুলিহিল কারীম


মোটমুটি কযেকটা গুণের উপর মেহনত করিয়া আমল করিতে পারিলে দ্বীনের উপর চলা অতি সহজগুণগুলো হচ্ছে :-
 ১) কালেমা,  ২) নামায,  ৩) এলেম ও জিকির,  ৪) একরামুল মুসলেমিন, ৫) তাসহিহে নিয়্যত,  ৬) দাওয়াত ও তাবলীগ।

১) কালেমাঃ
কালেমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ)। অর্থঃ  আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল ও বান্দা। এই কালেমা পাঠ করে অন্তরে এই বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে যে আল্লাহ ছাড়া সব মাখলুক, আর মাখুলুক কিছুই করিতে পারে না আল্লাহর হুকুম ছাড়া আর আল্লাহ্‌ তায়ালা সব কিছুই করিতে পারেন মাখলুক ছাড়া। আর একমাত্র রাসুল(সাঃ) এর তরিকায় দুনিযাও আখেরাতে শান্তি কামিয়াবী আর সফলতা। যদি কোন ব্যক্তি একীন ও এখলাসের সাথে একবার এই কালেমা পাঠ করে তবে তার পিছনের জীবনের সমস্ত গুণাহ মাফ হযে যাবে। যদি কেও জাররা পরিমান ঈ্মান নিয়ে এই দুনিয়া ত্যাগ করে তবে তাকে আল্লাহ তায়ালা এই দুনিয়ার দশ দুনিয়ার সমান জান্নাত দান করবেন্। এই কালেমা বেশি বেশি পাঠ করা আর এই কালেমা লাভ জানিযে অপর ভাইকে দাওয়াত দেয়া।

২) নামায:
রাসুল (সাঃ) যেভাবে নামায পড়েছেন এবং সাহাবী আজমাইনদের যেভাবে নামাজ শিক্ষা দিয়েছেন সেই ভাবে নামায পড়ার চেষ্টা করা। নবী (সাঃ) এরশাদ করেছেন ,যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন এখলাসের সহিত এইভাবে নামায পড়ে যে তাহার তকবীরে ওলা ছুটে না তবে সে দুইটি পরওয়ানা লাভ করিবে। একটি জাহান্নাম হইতে মুক্তি। ২য় টি মুনাফেকি থেকে মুক্ত হওয়ার। যে ব্যক্তি সময়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে দৈনিক পাচঁ ওয়াক্ত নামায পড়বে আল্লাহ তায়ালা তাকে নিজ জিম্মাদারীতে বেহেশেতে প্রবেশ করাইবেন। তাই ফরয নামায গুলো জামাতের সাথে আদায় করি এবং ওয়াজিব ও সুন্নাতের পাবন্দি করি আর নফল নামায বেশি বেশি করে পাঠ করার চেস্টা করি। শরীরের জন্য মাথা যেমন দ্বীনের জন্য নামায তেমন।

৩) এলেম ও জিকিরঃ
আল্লাহ তায়ালার কখন কি আদেশ নিষেধ তা জানিযা রাসুল (সাঃ) এর তরীকা অনুযায়ী আমল করা। যে ব্যক্তি এলেম শিক্ষা করার জন্য ঘর থেকে বের হয় গর্তের পিপিলীকা থেকে সমুদ্রের মাছ পর্যন্ত তার জন্য দোয়া

 

করতে থাকে। প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ঐ পরিমান এলেম হাসেল করা ফরয যে পরিমান এলেম দ্বীনের উপর চলার জন্য আবশ্যক। হর হালতে বা সবসময় আল্লাহতায়ালার ধ্যাণ ও খেয়াল অন্তরে জারি রাখার নাম হলো জিকির। যে ব্যক্তি জিকির করিতে করিতে তার জিহবাকে তরুতাজা রাখবে কাল কেয়ামতের দিন সে হাসতে হাসতে জান্নাতে প্রবেশ করিবে। সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির হলো কালেমা পাঠ করা। আফজাল জিকির হলো ক্বুরআন তেলাওয়াত করা। কাজের শুরুতে দুয়ায়ে মাসনুন পড়া।সকাল বিকাল তিন তজবীহ আদায় করা । ১০০ বার সুবহানাল্লাহি আলহামদুলিল্লাহি ও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহুআকবার পাঠ করা, ১০০ বার যে কোন দরূদ পাঠ করা। আর ১০০ বার এস্তেগফার পড়া। কে্উ একাধারে ৩ বছর এই আমল করলে আল্লাহর অলী না হয়ে সে কবরে প্রবেশ করবে না।

৪) একরামুল মুসলেমিনঃ
সকল মুসলমানের কিম্মত বুঝিয়া কদর করা। যদি কেউ কোন মানুষের একটা উপকার করে আল্লাহ তায়ালা তার ৭৩ টা উপকার করবেন। একটা দুনিয়াতে আর ৭২ টা আখেরাতে। আর কেউ কোন ভাইযের উপকার করার জন্য চেষ্টা করে তবে তা মসজিদে বসে ১০ বছর এতেকাফ করার চেয়ে উত্তম্। হযরত আবু বকর (রাঃ) যখন খলিফা ছিলেন দৈনিক ১০০ লোকের খেদমত করতেন। বলা হয়েছে খেদমতে খোদা মেলে ইবাদতে জান্নাত।

৫) তাসহিহে নিয়্যাতঃ
আমরা যখন কোন নেক আমল করবো আল্লাহ তায়ালার রাজি খুশি করার জন্য করবো। আল্লাহ তায়ালাকে রাজি খুশি করার জন্য যদি কেউ খুরমা খেজুরও দান করে তবে আল্লাহ ইচ্ছা করলে তা বাড়িয়ে পাহাড় পরিমান নেকি দান করবেন। হাশরের ময়দানের দিন ৩ ব্যক্তিকে অধোমুখী করে জাহান্নামে ফেলা হবে্। ১জন ঐ ব্যক্তি যিনি অনেক বড় দাতা এমন কোন জায়গা নাই যেখানে তিনি দান করেন নাই অথচ এই জন্য করেছেন যে লোকে তাকে দাতা বলবে আল্লাহতাযালা তাকে অধোমুখী করে জাহান্নামে ফেলবেন। ২য় জন এই ব্যক্তি যে নিজে এলেম শিখেছে এবং অপরকে এলেম শিখিয়েছে কিন্তু এইজন্য করেছে যে লোকে তাকে দাতা বলবে তাকেও অধোমুখী করে জাহান্নামে ফেলবে। ৩য় জন ঐ ব্যক্তিতে যিনি অনেক বড় বড় যোদ্ধা শহীদ হয়েছেন কিন্তু আল্লাহর জন্য হন নাই। তাকেও অধোমুখী করে জাহান্নামে ফেলা হবে(মিশকাতঃ মুসলিম) । তাই এখলাস ওয়ালারা ভাগ্যবান। আর সর্বশেষ

৬) দাওয়াত ও তাবলীগঃ
আল্লাহর দেয়া জান মাল ও সময় নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বের হযে জান ও মালের সহিহ ব্যবহার শিক্ষা করা । যদি কেউ আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে নিজের প্রয়োজণে ১ টাকা খরচ করে তবে তা ৭ লক্ষ টাকা ছদকা করার চেয়ে উত্তম আর যদি কেউ একবার ছোবহানাল্লাহ বলে তবে তা ঘরে বসে ৪৯ কোটি বার ছোবানাল্লাহ বলার চেয়ে উত্তম। ইসলামসন্নাসী হওয়া সমর্থন করে না।মক্কা শরীফে এক রাকাতে ১ লাখ রাকাত আর মদীনায মসজিদে নববীতে এক রাকতে ৫০ হাজার রাকতের ছোয়াব পাওয়া যায়। তারপরও সাহাবীরা এইসব চেড়ে দূর দূরান্তে ছফরে গিযেছেন দ্বীনের দাওয়াতের জন্য। সোয়া লক্ষ সাহাবীর মধ্যে মাত্র ১০ হাজার সাহাবীর কবর পাওয়া যায় মক্কা মদীনায় আর বাকী সবার কবর সারা পৃথিবীর আনাচে কানাচে। তারা দাওয়াত দেয়ার কারনে আমরা মুসলমান হতে পেরেছি। নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ কিয়ামত পর্যন্ত আসা সকল মানুষের উপর ।তাই তাদের কাছে দাওয়াত পৌছানোর জন্য সকল উম্মতের উপর জিম্মাদারী দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে আছে ঐ ব্যক্তির চেয়ে ভালো কথা আর কাহার হতে পারে যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে নিজে সৎ কর্ম করে আর বলে যে নিশ্চয়ই আমি সাধারন মুসলমানদের মধ্য হতে একজন (সুরা হা-মিম ছেজদা,আয়াত-১০)। আরও আছে তোমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি মানুষের মঙ্গলের জণ্য তোমাদের বের করা হয়েছে, তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ কর অসৎ কাজে বাধা প্রদান কর আর আল্লাহর উপর ঈ্মান এনে থাকো (সুরা আল- ইমরান আয়াত-১১০) । এই কাজ সবাই করার জন্য তৈরি আছি না। জীবণের প্রথম সুযোগে ১২০ দিন সময় দিয়ে এইকাজ শিখতে হয় আর করতে হয় মৃত্যুর আগপর্যন্ত্ । কোন কোন ভাই তৈরি আছেন?
আলহামদুলিল্লাহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ