খানা খাওয়ার বিশেষ কিছু আদব:
১/ উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে যিনি মুরব্বী বা বয়সে বড় তার থেকে খানা শুরু করা।
২/ কেউ লোকমা নিতে হাত বাড়ালে নিজের হাত গুটিয়ে নেয়া।
৩/ তিন তরীকায় কোনো এক তরীকায় বসে খানা খাওয়া।
ক. উভয় পা খাড়া করে,
খ. এক হাঁটু খাড়া করে অপর হাঁটু বিছিয়ে।
গ. উভয় হাঁটু জমিনে বিছিয়ে সামনের দিকে ঝুঁকে বসে।
৪/ জুতা খুলে খানা খাওয়া।
৫/ খানা সামনে এলে এই দু'আ পড়বে-
اللهم بارك لنا فيما رزقتنا وقنا عذاب النار
হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছো তাতে বরকত দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা কর।-শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস নং ৬০৪০; মুসান্নাফে ইবনে অ√ শাইবা, হাদীস নং৩০১৮৪; মুআত্তা মালেক, হাদীস নং ১৬৭২
৬/ দস্তরখানায় ঝুটা ফেলা সুন্নাতের খেলাফ।
৭/ খানার শেষে দস্তরখানা আগে উঠানোর পর আহারকারীর উঠা সুন্নাত ।
৮/ খাওয়ার সময় নম্রভাবে দরিদ্রের মতো বসে খাবে, অহঙ্কারীদের মতো বসবে না।
৯/ ভাত বা তরকারি যদি কিছু কম হয় এবং লোক বেশি হয়, তবে সবাই কিছু কিছু কম খাবে। এমন করবে না, একজনের পেট ভরে যাবে আর একজন কিছুই পাবে না।(-সহীহ মুসলিম
১০/ খেজুর, আঙ্গুর, বাতাসা, মিঠাই ইত্যাদি জিনিস কয়েকজনে খেতে বসলে প্রত্যেকে এক একটা করে উঠাবে।
১১/ খানার বস্তু ধান, চাল, গম পাত্র থেকে নেয়ার সময় মেপে নিবে, অনুমান করে নিবে না, কিন্তু যা পাত্রে থেকে যায় তা মাপবে না।
১২/ খানা খেয়ে, পানি পান করে খানা-পানির আসল মালিক আল্লাহ পাকের শোকর আদায় করবে। -সহীহ মুসলিম
১৩/ খানা খুব বেশি খাবে না, এতে ক্ষতি হয়।
১৪/ খাওয়া-দাওয়ার কোনো জিনিস অন্য কারো নিকট নিতে হলে থেকে নিবে । -সহীহ বুখারী
0 মন্তব্যসমূহ